তখন সন্ধ্যা সাতটা। ভটভটির চেইন মাস্টার আরিফ বললেন, এই গাড়িটা এখন যাবে।
মেয়েটি (২৬) ভটভটিতে উঠে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে আরও ছয়জন যাত্রী উঠে বসেন।
ভটভটির স্টিয়ারিং ধরেন আরিফুল। এর পরই রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি ব্রিজের
ওপর থেকে ভটভটিটি পুঠিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। উত্তর দিকে এক কিলোমিটার
গিয়েই চারঘাটের রামচন্দ্রপুর গ্রাম। চারদিকে অন্ধকার। পুঠিয়ার রাস্তা ছেড়ে
ভটভটি এবার আমবাগানের ভেতরে ঢুকে যায়। মেয়েটির জীবনে নেমে আসে এক
বিভীষিকাময় রাত।
অবস্থা বুঝতে পেরে মেয়েটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাঁর স্বামীকে ফোন করে বিপদের কথা জানান। ইতিমধ্যে তাঁর স্বামী পুঠিয়া থেকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁকে নিতে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ওই আমবাগানে এসে আর স্ত্রীকে খুঁজে পাননি। তৎক্ষণাৎ তিনি চারঘাট থানায় ফোন করেন। রাত ১২টার দিকে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। সারা রাত ধরে খুঁজে অবশেষে ভোররাতে গ্রামের আলতাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের হাতে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়া এ তরুণীর এই ঘটনা পুলিশ গতকাল শুক্রবার এভাবে সাংবাদিকদের জানায়।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির কর্মস্থল ঈশ্বরদী ইপিজেডে। সেখান থেকে তাঁর স্বামীর বাড়ি পুঠিয়ায় ফিরছিলেন। উদ্ধারের পর তিনি শুধুই কাঁদছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান, দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাঁর বোরকা ছিঁড়ে ফেলে। ব্যাগ ও মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকিরা চলে যায়। এই তিনজন তাঁকে একটি ভ্যানে তুলে আরও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। একটি বাড়ির পাশ দিয়ে ভ্যানটি যাওয়ার সময় তিনি ভ্যান থেকে লাফিয়ে পড়েন। দৌড়ে ওই বাড়ির ভেতর ঢুকে চিৎকার করতে থাকেন। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এটাই আলতাব উদ্দিনের বাড়ি।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার গোলাম মর্ত্তুজা জানান, ওই দুর্বৃত্তরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। যাত্রীবেশে তারা মেয়েদের হয়রানি ও নির্যাতন করে থাকে। চেইন মাস্টার আরিফুলের বিরুদ্ধে এর আগে এ ধরনের অপকর্মের অভিযোগ আছে। ওসি বলেন, মেয়েটি উচ্চশিক্ষিত। মানসম্মানের ভয়ে হয়তো সব কথা বলছেন না। তবে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। এ অভিযোগে গতকাল সকালে চারঘাট থানায় মামলা করেন তরুণীর এক ভাই।
গোলাম মর্ত্তুজা বলেন, পুলিশ চেইন মাস্টার আরিফুলসহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আরিফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাগাতিপাড়া উপজেলার জনী (২২) ও মোহাম্মদ আলী (৩০) এবং বাঘার আড়ানী গ্রামের জরিফ (২৬) নামে অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহীর আমলি আদালত-৫-এর বিচারক সালাহ উদ্দিন মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
অবস্থা বুঝতে পেরে মেয়েটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাঁর স্বামীকে ফোন করে বিপদের কথা জানান। ইতিমধ্যে তাঁর স্বামী পুঠিয়া থেকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁকে নিতে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ওই আমবাগানে এসে আর স্ত্রীকে খুঁজে পাননি। তৎক্ষণাৎ তিনি চারঘাট থানায় ফোন করেন। রাত ১২টার দিকে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। সারা রাত ধরে খুঁজে অবশেষে ভোররাতে গ্রামের আলতাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের হাতে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়া এ তরুণীর এই ঘটনা পুলিশ গতকাল শুক্রবার এভাবে সাংবাদিকদের জানায়।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির কর্মস্থল ঈশ্বরদী ইপিজেডে। সেখান থেকে তাঁর স্বামীর বাড়ি পুঠিয়ায় ফিরছিলেন। উদ্ধারের পর তিনি শুধুই কাঁদছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান, দুর্বৃত্তরা প্রথমে তাঁর বোরকা ছিঁড়ে ফেলে। ব্যাগ ও মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এরপর ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকিরা চলে যায়। এই তিনজন তাঁকে একটি ভ্যানে তুলে আরও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। একটি বাড়ির পাশ দিয়ে ভ্যানটি যাওয়ার সময় তিনি ভ্যান থেকে লাফিয়ে পড়েন। দৌড়ে ওই বাড়ির ভেতর ঢুকে চিৎকার করতে থাকেন। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এটাই আলতাব উদ্দিনের বাড়ি।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার গোলাম মর্ত্তুজা জানান, ওই দুর্বৃত্তরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। যাত্রীবেশে তারা মেয়েদের হয়রানি ও নির্যাতন করে থাকে। চেইন মাস্টার আরিফুলের বিরুদ্ধে এর আগে এ ধরনের অপকর্মের অভিযোগ আছে। ওসি বলেন, মেয়েটি উচ্চশিক্ষিত। মানসম্মানের ভয়ে হয়তো সব কথা বলছেন না। তবে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। এ অভিযোগে গতকাল সকালে চারঘাট থানায় মামলা করেন তরুণীর এক ভাই।
গোলাম মর্ত্তুজা বলেন, পুলিশ চেইন মাস্টার আরিফুলসহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আরিফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাগাতিপাড়া উপজেলার জনী (২২) ও মোহাম্মদ আলী (৩০) এবং বাঘার আড়ানী গ্রামের জরিফ (২৬) নামে অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহীর আমলি আদালত-৫-এর বিচারক সালাহ উদ্দিন মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
No comments:
Post a Comment