সুস্থ ও সুন্দর থাকার ৪টি সহজ উপায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন মীম ! ‘The Tunnel of Love’ :: যেখানে প্রকৃতি ও ভালোবাসা মিশেছে নান্দনিকতায় দীর্ঘ দাম্পত্যের গোপন রহস্য তিশার প্রেম..., ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা কথা ... শ্যামলী প্রেক্ষাগৃহ আবার চালু হচ্ছে ফিরছেন বিদ্যা!

Tuesday, February 18, 2014

‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’ এখন ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ (ভিডিও)

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত বলিউডের ছবি ‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’ নিয়ে সেন্সর জটিলতা তৈরি হয়েছিল আগেই। অখুশি হলেও ভারতের সেন্সর বোর্ডের নির্দেশ মেনে শেষ পর্যন্ত ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ শিরোনামে ছবিটি মুক্তি দিতে রাজি হয়েছেন এর পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত।
এ প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন, ‘ছবিটির কোনো দৃশ্য কর্তন না করলেও ‘‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’’ শিরোনামে ছবি মুক্তির অনুমতি দেয়নি সেন্সর বোর্ড। এ জন্য শিরোনাম পরিবর্তন করে ছবিটি মুক্তি দিতে রাজি হয়েছি। কারণ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব ছবিটি মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম।’

মৃত্যুঞ্জয় আরও বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশে ‘‘চিলড্রেন অব ওয়ার’’ নামে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে ‘‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’’ নামেই ছবিটি মুক্তি পাবে। এর ট্যাগ লাইন রাখা হয়েছে ‘‘নাইন মান্থস টু ফ্রিডম’’।’ সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এ ছাড়া যুদ্ধ চলাকালে বহু নারী ধর্ষণের শিকার হন, যাঁরা অসংখ্য যুদ্ধ-শিশুর জন্ম দেন। ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ ছবিতে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন, তিলোত্তমা সোম, পবন মালহোত্রা, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ভিক্টর ব্যানার্জি, প্রয়াত ফারুখ শেখ প্রমুখ।
এর আগে নামের কারণে ‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’ ছবির মুক্তি আটকে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয়। তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘আমি জানি না, সেন্সর বোর্ড কেন এই নামের ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছে। সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ ‘না-জায়েজ (১৯৯৩), ‘কামিনে’ (২০০৯) ও ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ড’ (২০০৯) শিরোনামের ছবিগুলো যদি মুক্তি দিতে পারে, তাহলে আমার ছবির ক্ষেত্রে আপত্তি আসার বিষয়টি ঠিক বুঝলাম না।’
ছবিটি সম্পর্কে মৃত্যুঞ্জয় জানিয়েছিলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যা নিয়ে প্রচুর ছবি নির্মিত হয়েছে হলিউডে। কিন্তু বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না। ১৯৭১ সালে গণহত্যার পাশাপাশি ধর্ষণ ও ধর্মকে যে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল তা-ই আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমার ছবিতে। আমি চাই, ছবিটি যেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশেও মুক্তি পায়। আমার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশে। এ ছবি বাংলাদেশের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা ছোট্ট উপহার।’

No comments:

Post a Comment