সুস্থ ও সুন্দর থাকার ৪টি সহজ উপায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন মীম ! ‘The Tunnel of Love’ :: যেখানে প্রকৃতি ও ভালোবাসা মিশেছে নান্দনিকতায় দীর্ঘ দাম্পত্যের গোপন রহস্য তিশার প্রেম..., ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা কথা ... শ্যামলী প্রেক্ষাগৃহ আবার চালু হচ্ছে ফিরছেন বিদ্যা!

Tuesday, February 18, 2014

জলবেশ্যা - টান

জলদস্যু নিয়ে টলিউডে তৈরি হচ্ছে ছবি । আর এই জলদস্যুরা হল সুন্দরবনের। পরিচালক মুকুল রায়চৌধুরী মেতেছেন এমনই এক জলদস্যুদের গল্প নিয়ে। তবে অ্যাঙ্গেলটা একেবারে ঘুরে জলদস্যু থেকে জলবেশ্যা।
মানে? এই তো চলছিল জলদস্যু, আবার জলের মধ্যে বেশ্যা এল কোত্থেকে? আসুন খোলসা করি। এটা হক কথা যে, মুকুল রায়চৌধুরীর নতুন ছবিতে অ্যাঙ্গেলটা জলবেশ্যাই। কিন্তু তা বলে আমি মিছে কথা বলিনি। গল্পে জলদস্যুরা না থাকলে, জলবেশ্যারাই বা কী করবে, আবার জলবেশ্যারা না থাকলে জলদস্যুরাই বা কী করবে!
মোদ্দা কথা হল, পরিচালক রায়চৌধুরী মহাশয় জলদস্যুকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে জলবেশ্যাদের গল্প বলতে বেশি আগ্রহী। দেখলেন তো, এত কথার মাঝখানে ছবিটার নামটা বলতেই ভুলে যাচ্ছিলাম। ছবির নাম ‘টান’।

এবার স্পষ্ট করি, জলবেশ্যা কাকে বলে? সুন্দরবনের জলভূমিতে রাজত্ব করে কিছু জলদস্যু। তাদের কাজই হল বেআইনি পথে বাঘের চামড়া অন্যদেশে পাচার করা। এছাড়া ছোটবড় লুঠমার তো আছেই। এই জলদস্যুরাই নানা জায়গায় ডাকাতি করতে গিয়ে তুলে আনে মেয়েদের। আর কখনও নিজেদের যৌন খিদে মেটানোর জন্য এদের ব্যবহার করে, কখনও দেহ ব্যবসায় কাজে লাগান হয় এই মেয়েদের। সুন্দরবনের জলভূমিতে নৌকার উপরই চলতে থাকে এই ভাসমান বেশ্যাপল্লি। তাই এদেরকে বলা হয় জলবেশ্যা।
পরিচালক মুকুল রায়চৌধুরীকে প্রশ্ন ছিল এত বিষয় থাকতে হঠাৎ জলবেশ্যাই কেন? উত্তরে পরিচালক বলেন, ‘দেখুন এখনকার দর্শক অন্যরকম ছবি দেখতেই পছন্দ করে। তাই এই ধরণের বিষয়টা আমি বেছে নিয়েছি। বাংলা ছবিতে এর আগে এই ধরণের বিষয় নিয়ে কাজ হয়নি। বিষয়টা শুনলেই মনে হচ্ছে খুব বোল্ড হতে চলেছে ছবিটা’, জানাচ্ছেন পরিচালক। তা, এত বোল্ড ছবি কি বাংলার দশক নিতে পারবে? ‘বোল্ড ছবি বাংলার দর্শক তো অনেক দিন আগে থেকেই নিচ্ছে। এটা তো নতুন নয়। এখন তো টলিউডে প্রচুর বোল্ড ছবি তৈরি হচ্ছে। বোল্ড বলতে এখন আপনি বিষয়ের কথা বলছেন না বোল্ড দৃশ্যের কথা বলছেন সেটা ভাবতে হবে। আমি এইটুকু বলতে পারি আমার এই ছবি দুদিক থেকেই বোল্ড। বিষয় এবং দৃশ্য দুদিক থেকেই’, একটুও রাখঢাক না করে সাফ জানালেন পরিচালক।

টান ছবির গল্পটা ঠিক কী? ‘এই ছবির গল্প মূলত জলবেশ্যাদের নিয়ে। কীভাবে তাঁদের এখানে আসা, অতীত সবকিছুই। কিন্তু এত সহজে গল্পটা এগোয় না। মুম্বই থেকে এক ফোটোগ্রাফার ছবি তুলতে আসে সুন্দরবনে। কিছুদিন যাওয়ার পর এই ছেলেটার খোঁজ পাওয়া যায় না। এই ছেলেটাকে খুঁজতে আসে তার এক বন্ধু। খুঁজতে এসে সে ঘটনাচক্রে ঢুকে পড়ে জলবেশ্যাদের ডেরায়। এই ডেরায় এসে সে জানতে পারে তার ফোটোগ্রাফার বন্ধুটির সঙ্গে এক জলবেশ্যার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এর পরই নানা রহস্য খুলতে শুরু করে বেশ্যাদের সাহায্যে। এইভাবেই গল্প এগোতে থাকে’।
আপনার এই ছবিতে জলবেশ্যার চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবলীনা চক্রবর্তী রয়েছেন। এরকম একটা বোল্ড চরিত্রে অভিনয় করতে তাঁরা রাজি হলেন? ‘রাজি হবেন না কেন? ঋতুপর্ণা এবং দেবলীনা অসম্ভব ভাল অভিনেত্রী। দুজনেই সাইন করার আগে স্ক্রিপ্ট পড়েছেন। খুব উৎসাহ সহকারেই রাজি হয়েছেন ছবিটা করতে’। কিন্তু আপনার এই ছবিতে তো প্রচুর খোলামেলা দৃশ্য রয়েছে। এই দৃশ্য কি আপনার ছবির ইউএসপি? ‘দেখুন ইউএসপি মানে আলাদা এমন কিছু কোয়ালিটি যা প্রোডাক্টকে ভাল বিক্রি হওয়ার জন্য সাহায্য করে। আমার ছবি বেশ্যাদের নিয়ে গল্প বলে, খোলামেলা দৃশ্য তো থাকবেই। এটা তো ছবির অংশ। আলাদা কিছু নয়’।
মুকুল রায়চৌধুরীর ‘টান’ ছবির কিছুটা অংশ সুন্দরবনে শ্যুটিং হয়েছে। আর বেশিরভাগটাই শ্যুট করা হয়েছে বাইপাসের ধারে এক ভেরিতে। সেখানেই তৈরি হয়েছে জলবেশ্যাদের ভাসমান বেশ্যাপল্লি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবলীনা চক্রবর্তী ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ এক জলদস্যুর চরিত্রে দেখা যাবে রাজেশ শর্মাকে। রয়েছে নতুন কিছু মুখও। বছরের শেষের দিকে মুক্তি পেতে পারে ‘টান’।

No comments:

Post a Comment

উপরে