সুস্থ ও সুন্দর থাকার ৪টি সহজ উপায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন মীম ! ‘The Tunnel of Love’ :: যেখানে প্রকৃতি ও ভালোবাসা মিশেছে নান্দনিকতায় দীর্ঘ দাম্পত্যের গোপন রহস্য তিশার প্রেম..., ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা কথা ... শ্যামলী প্রেক্ষাগৃহ আবার চালু হচ্ছে ফিরছেন বিদ্যা!

Tuesday, February 18, 2014

Pakistani Porn::পাকিস্তানে থেমে নেই পর্নো সিনেমা

পাকিস্তানের পেশাওয়ারে প্রতিদিন চলছে পর্নো সিনেমা। প্রতিদিন শত শত মানুষ হলে ভিড় জমাচ্ছেন পাকিস্তানের অখ্যাত অভিনেতা, অভিনেত্রী দিয়ে তৈরি যৌনতার দৃশ্যে ভরপুর ছবি দেখতে। পেশাওয়ারে তালেবানের দাপট থাকলেও পর্নো ছবি থামছে না।
পেশাওয়ারের শামা সিনেমা হলের নাম জানেন না এমন মানুষ পাকিস্তানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এক সময় ১৫টি সিনেমা হল ছিল তালেবান অধ্যুষিত শহরটিতে। ভিডিও, ডিভিডির আগমনের ফলে সারা পাকিস্তানে চলচ্চিত্র ব্যবসায় ভাটার টান লেগেছে। অনেক হলই বন্ধ হয়ে গেছে। পেশাওয়ারেও বন্ধ হয়েছে আটটি হল।
তাই ২০ বছর আগে যেখানে ছিল ১৫টি হল, এখন সেখানে টিকে আছে মাত্র সাতটি। সাতটির মধ্যে তিনটিতে ব্যবসা বেশ রমরমা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সেই তিনটি প্রেক্ষাগৃহে প্রতিদিন পর্নো ছবি চলে বলেই মন্দার ঢেউ সেখানে লাগছে না। তিনটির মধ্যে শামায় প্রতিদিন জমে শত লোকের ভিড়। সাধারণ সিনেমার জন্য নির্ধারিত দামের তিন-চারগুন বেশি দামেও টিকিট কেটে সমাজের প্রায় সব পেশার মানুষই যান স্থানীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যৌনতার দৃশ্য দেখতে।
দোস্তানা নামের একটি ছবিকে রীতিমতো লুফে নিয়েছে পেশাওয়ারের মানুষ। একটি ছাগলের বাজার আর বাস স্ট্যান্ডের মাঝের ছোট্ট পথ ধরে লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক মানুষ গিয়ে ঢুকে পড়ছেন সিনেমা হলে। দোস্তানা তৈরি হয়েছে স্থানীয় এক যুবককে ঘিরে। যুবকটি বিয়ে করবেন। তিনি চান তাঁর প্রেমিকাকে বিয়ে করতে। তবে পরিবার চায় বিয়েটা হোক ছেলেটির এক খালাতো বোনের সঙ্গে। চাপের মুখে যুবকটি এক সময় সিদ্ধান্ত নেন কে বেশি ভালো তা যাচাই করেই বিয়ে করবেন। তারপর থেকেই শুরু হয় দুই তরুণীর সঙ্গে যুবকটির খুব ঘনিষ্ঠ এবং খোলামেলা দৃশ্য। দোস্তানায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের সাধারণ ঘরের অখ্যাত এক ছেলে। দুই তরুণী চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রীদেরও নেই অভিনয়ের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা। দর্শকরা তবুও খুশি।
অখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে তৈরি পর্নো ছবি দেখে তাঁরা খুশি কেন? বার্তা সংস্থা এএফপি দর্শকদের প্রশ্ন করে জেনেছে, পেশাওয়ারের মানুষ চায় নিজেদের মতো কাউকেই যৌন দৃশ্যে দেখতে। ইউটিউবে কিংবা সিডি-ডিভিডিতে তো বিদেশি পর্নো অনেক দেখা যায়। সেই তুলনায় পাকিস্তানি পর্নো নেই বললেই চলে। তাই পাকিস্তানের মানুষ চায় স্বদেশি যৌনদৃশ্য দেখতে। এএফপিকে পেশাওয়ারের তরুণ খালিক বলেছেন, আমি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দোস্তানা দেখলাম। এখানকার অনেক মানুষের মতো আমিও এমন ছবিতে পাকিস্তানের মেয়েদেরই দেখতে চাই। পাকিস্তানি মেয়েদের দেখে শৌখিন এবং বাস্তবসম্মত মনে হয়।

No comments:

Post a Comment

উপরে