জটিল আর বিস্ময়কর সব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা আমাদের এই মানবদেহ যে
সবসময় একইভাবে কাজ করে যেতে পারে তা নয়। বরং নানা সময়েই তাতে বাসা বাঁধে
দুরারোগ্য কিংবা ব্যাখ্যাতীত সব অসুখ-বিসুখ। এর কোনোটি যেমন আমাদেরকে
জীবন থেকে দূরে ঠেলে দেয়, ঠিক তেমনি স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকাকে দূরহ করে
তোলে এমন রোগবালাইয়ের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আর এমনই এক ব্যতিক্রমী রোগকে
জয় করে জিমন্যাস্টিকের মতো কঠিন অনুশীলনের একটি খেলায় অসামান্য সাফল্য
অর্জন করে সম্প্রতি যিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন তিনি হলেন যুক্তরাজ্যের নিউ
হ্যাম্পশায়ারের হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ব্রিটানি ক্যাপোজি। ব্রিটানি যে
বিরল রোগে ভুগছেন তার নাম ক্লেইন-লেভিন সিনড্রোম বা 'স্লিপিং বিউটি
সিনড্রোম'। এই রোগে আক্রান্তরা দিনে একটি বড় সময়ই ঘুমিয়ে কাটাতে বাধ্য
হন।
এমনকি কখনো কখনো এই ঘুম ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। আবার কখনো কখনো জাগ্রত অবস্থাতেও এক ধরনের অসারতাতে ভুগতে হয়ে সংক্ষেপে 'কেএলএস' নামে পরিচিত এই রোগের রোগীদের। এই অবস্থায় যেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বহাল রাখাই দুষ্কর সেখানে জিমন্যাস্টিকের মতো কঠোর অনুশীলন আর নিয়মানুবর্তী চর্চার কোনো খেলায় নিজেকে নিযুক্ত রাখাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ এই বাধাকে জয় করেই স্টেট জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতার অল অ্যারাউন্ড বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ব্রিটানি। এমনকি তার এই সাফল্যে ভর করে শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয় তার দলও। তবে এই তথ্যগুলোর মাঝে যে বিষয়টি সবচেয়ে বিস্ময়কর তাহলো খোদ নিজের ইভেন্টটিতে অংশ নেওয়ার সময়ই রোগের প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটানি। ফলে তিনি যা কিছু করেছেন তার অধিকাংশই ছিল ঘুমের ঘোরে বা অবচেতন মনে। পরে এক সাক্ষাত্কারে ব্রিটানি একে মজা করে তার পেশির স্মৃতিশক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, 'সম্ভবত দীর্ঘদিন অনুশীলন করার কারণে ওই সময়টিতে আমার নিজের স্মৃতি ঠিকভাবে কাজ না করলেও শরীরের পেশিগুলো কী কী করতে হবে তা ঠিকঠাক মনে রেখেছিল!' সত্যি নানা ধরনের দুরারোগ্য অসুখে ভোগা মানুষদের কাছে বেঁচে থাকার বড় একটা প্রেরণাই হতে পারেন ব্রিটানি ক্যাপোজি নামের এই তরুণী।
এমনকি কখনো কখনো এই ঘুম ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। আবার কখনো কখনো জাগ্রত অবস্থাতেও এক ধরনের অসারতাতে ভুগতে হয়ে সংক্ষেপে 'কেএলএস' নামে পরিচিত এই রোগের রোগীদের। এই অবস্থায় যেখানে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বহাল রাখাই দুষ্কর সেখানে জিমন্যাস্টিকের মতো কঠোর অনুশীলন আর নিয়মানুবর্তী চর্চার কোনো খেলায় নিজেকে নিযুক্ত রাখাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ এই বাধাকে জয় করেই স্টেট জিমন্যাস্টিক প্রতিযোগিতার অল অ্যারাউন্ড বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ব্রিটানি। এমনকি তার এই সাফল্যে ভর করে শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয় তার দলও। তবে এই তথ্যগুলোর মাঝে যে বিষয়টি সবচেয়ে বিস্ময়কর তাহলো খোদ নিজের ইভেন্টটিতে অংশ নেওয়ার সময়ই রোগের প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটানি। ফলে তিনি যা কিছু করেছেন তার অধিকাংশই ছিল ঘুমের ঘোরে বা অবচেতন মনে। পরে এক সাক্ষাত্কারে ব্রিটানি একে মজা করে তার পেশির স্মৃতিশক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, 'সম্ভবত দীর্ঘদিন অনুশীলন করার কারণে ওই সময়টিতে আমার নিজের স্মৃতি ঠিকভাবে কাজ না করলেও শরীরের পেশিগুলো কী কী করতে হবে তা ঠিকঠাক মনে রেখেছিল!' সত্যি নানা ধরনের দুরারোগ্য অসুখে ভোগা মানুষদের কাছে বেঁচে থাকার বড় একটা প্রেরণাই হতে পারেন ব্রিটানি ক্যাপোজি নামের এই তরুণী।
No comments:
Post a Comment